• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Who Are Jordanian Mail Order Brides? The Ultimate Guide To Dating Laotian Women ‘বিরসকাব্য’ হয়ে যায় ‘বউয়ের জ্বালা’! নাটকের উদ্ভট নাম নিয়ে মোশাররফ করিমের হতাশা ইয়াশ রোহানের প্রিয় অভিনেতা সেদিন টি–শার্ট পরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন ইরফান বরাবরই আমরা রবীন্দ্রনাথের কাছে ফিরি অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে মুখ খুললেন এমিলি ভেবেছিলাম মরেই যাব, প্রতিদিন ৩০ ওষুধ ও ইনজেকশন নিতে হয়েছে : মৌনি রায় তবে কি অন্তঃসত্ত্বা দীপিকার সংসারে ভাঙনের সুর? সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণ দিবস শাহিদ-কারিনার সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ইমতিয়াজ আলি নীলফামারীতে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ অ্যাম্বুলেন্সে এসে ভোট দিলেন অসুস্থ বৃদ্ধ পাকুন্দিয়ায় জাল ভোট দেওয়ায় তিন জনকে সাজা

রং বেরংয়ে কবুতর পালন করছেন ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষক আলতাফুর বিক্রি করেছেন বাড়ি থেকেই

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ  ঠাকুরগাঁওয়ের আলতাফুর রহমান। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি কবুতর লালন পালন করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাড়ির ছাদ আর খোলামেলা পরিবেশে রং বে-রংয়ের বিভিন্ন জাতের কবুতর ভোড় হলেই ডানা মেলে উড়ে ফিরে শিক্ষকের গৃহে। দিন দিন পালিত কবুতরের সংখ্যা বাড়ায় বিক্রি করছেন বাণিজ্যিকভাবে।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অবসর সময়টাকে কাজে লাগান ঠাকুরগাঁও সদরের সালন্দর মাদ্রাসার শিক্ষক আলতাফুর রহমান। সখের বসে ২০২০ সালের মার্চ মাসে মাত্র ৩০-৩৫টি কবুতর ক্রয় করে বাড়ির ছাদে লালন পালন শুরু করেন। বদ্ধ ঘরে কবুতর লালন পালনে নিজের কাছে অনেকটা অপরাধী মনে হলে ছেড়ে দেন খোলা মেলা পরিবেশে।

এ থেকেই তার পালিত কবুতরগুলো প্রতিমাসে ডিম থেকে বাচ্চা দিতে শুরু করে। এতে কয়েক মাসেই শতাধিক কবুতর যোগ হয়। শুরুতে পরিবারের পক্ষ থেকে কবুতর পালনে অনিহা প্রকাশ করলেও কবুতরের বংশ বৃদ্ধিতে আগ্রহ বাড়ে সবার। রক্ষনা বেক্ষনে ছাদে পরিধি বাড়িয়ে বাজার থেকে ক্রয় করেন বিভিন্ন জাতের আরো বেশকয়েক জোড়া কবুতর।
এখন দিন পার হলেই বাড়ছে কবুতর। বছর পেড়িয়ে তার কবুতরের সংখ্যা দাড়িয়েছে সাত শতাধিক। পালিত কবুতরগুলোর মধ্যে রয়েছে গিরিবাজ, হোমার, ঘিয়া চন্দন, কালদন, শো কিং, কোকা, মুক্ষিসহ আরো কয়েকটি জাত। বর্তমানে এসব কবুতর ভোড়ের আলো ফোটার আগেই ঘর থেকে বেড়িয়ে আশপাশে বাড়ির ছাদ আর খোলা আকাশে উড়ে বড় হচ্ছে।
শিক্ষক ও পরিবারের লোকজন সময়মত খাবার দিলেই ছুটে আসে একই ছাদে। ভয়ভীতি ছাড়াই উড়ে গিয়ে কখনো শরিরে, কখনো হাত পেতে দেয়া খাবারে যোগ দেয়। এক ঝাঁক কবুতরের বাকবাকুম শব্দ আর খুনসুটি দেখতে আশপাশের অনেকে হাজির হন শিক্ষকের ছাদে। মনোরম পরিবেশে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এক জোড়া কবুতর এখন বিক্রি করছেন ৩শ থেকে ৬ শ টাকা পর্যন্ত। কবুতর লালন পালনে বাড়তি আয় যোগ হয়েছে পরিবারে।

স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ভাল পরিবেশ থাকলে কবুতর লালন পালন করে উদ্যোগতারা অল্প সময়ে লাভবান হতে পারেন।
শিক্ষক ও উদ্যোগতা জানান মোঃ আলতাফুর রহমান জানান, কবুতর পালনে যেমন মানসিক প্রাশান্তি রয়েছে। তেমনি অল্প সময়ে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। তবে সময়মত প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে কবুতর লালন পালন করলে ঝুকি নেই।
ঠাকুরগাঁও সদও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন অর রশিদ জানান, শিক্ষকতার পাশাপাশি কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপশি মাংসের চাহিদা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভুমিকায় রাখছেন। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে তাকে সব সময় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। সদরে ২৫-৩০ জন উদ্যোগতা কবুতর লালন পালন করলেও জেলার শীর্ঘ উদ্যোগতা শিক্ষক আলতাফুর রহমান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.